একজন শিশু জন্মগত ভাবে কেন বিকলাঙ্গ হয় ?



শিশুরা নিষ্পাপ তাদের কোনো পাপ থাকে না, তারা ফুলের মত পবিত্র । কোনো শিশু জন্ম নেবার পর যখন দেখা যায় শিশুটি বিকলাঙ্গ(CONGENITAL DEFECTS)তখন মনে প্রশ্র জাগে এমন কেন হলো?এটা হওয়ার কারণ কি? তাছাড়া অনেক বাবা-মা এবং পরিবার হতাশ হয়ে পড়ে এটা ভেবে ।নানা কারণে শিশু বিকলাঙ্গ হয়ে থাকে  :
১।  বাবা-মা এর ক্রোমোজোম বা জিনের মধ্যে কোন অস্বাভাবিকতা থাকলে ।
২।  ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হলে,যেমন: Cytomegaloirus,Rulrla, Toxoplasma, Vericella .
৩।  বাবা-মা বেশি বয়সে সন্তান ধারণ করলে ।
৪।  তেজস্ক্রিয় রশ্মির প্রভাবে ।
৫। এক্স-রশ্মি বা অতি বেগুনী রশ্মির প্রভাবে ।
৬। Phenytion, Phencloarbitone, ম্যালেরিয়ার ওষুধ(Quinine, primaquine, Pyrimuthaumune)
৭।  সন্তান গর্ভে থাকা কালীন সময়ে নিম্নোক্ত ওষুধ সেবন করলে :
    Warfarin,Lithium, Pilatin, সালফানামাইড, থায়াজাইড ।
৮।  পরিবেশ দূষণ যেমন- বর্তমানে আর্ষেনিকের দূষণ জনিত কারণে শিশুর জন্মগত ত্রুটি দেখা যায় ।

মাতৃ গর্ভে ভ্রুণ সৃষ্টির পর থেকে একটি নির্দিষ্ট নিয়মে কোষ বিভাজন হয় । উপরোক্ত কোনো কারণে কোষ বিভাজনের প্রকৃয়া ব্যাহত হলেই সৃষ্টি হয় অস্বাভাবিক বা বিকলাঙ্গ সন্তান ।আবার ক্রোমোজোম বা জিনের অস্বাভাবিকতার কারণেও বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হয় ।

পরামর্শ : গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মাকে সচেতন হতে হবে । এই সময় কোনো ওষুধ গ্রহণ করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে । ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এক্স-রে করা যাবে না । 

No comments

Theme images by Raycat. Powered by Blogger.