***শিশুদের ঘুমের মধ্যে রোগ..........
চিকিৎসা পরিভাষায় এই রোগের নাম ‘অবষ্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া সিনড্রোম’। এই রোগের আসল কারণ জানা না গেলেও মূলত অ্যাডিনয়েড এবং টন্সিলের অসাভাবিক বৃদ্ধিকে দায়ি করা হয় । সাধারণত ২ থেকে ৬ বছরের শিশুর মধ্যেই এই রোগের প্রবনতা বেশি রয়েছে । ছেলে বা মেয়ে উভয়েই সমান ভাবে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে । রোগাক্রান্ত বেশির ভাগ শিশুর ওজন কমে যায় বা ওজন কমা বাড়ার প্রবনতা দেখা যায় । বেশির ভাগ শিশুরেই মানসিক বিকাশ বিঘ্নিত হয় । আবার অনেকেরই টন্সিলের গ্ল্যান্ড বড় হয়ে যায় ।এই রোগাক্রান্ত শিশুদের কিন্তু বড়দের মতো দিনের বেলায় ঘুম ঘুম ভাব থাকেনা । রাতে অনেকের ঘুম ভাঙতে নাও পারে, ভাঙলেও ঘুমের গঠন অবিকৃত থাকে ।
যে সমস্ত শিশু ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে তাদের মায়েরা অভিযোগ করে যে তাদের সন্তান মুখ হাঁ করে শ্বাস নেয়, নাক বন্ধ হয়ে যায় সব সময়, এমনকি নাকের সুরে কথা বলে । নাকের ড্রপ দিতে দিতে তারা নাকাল হয়ে যান । রাতেও এসব শিশুর অনেক ঘাম ঝরে । তাছাড়া জোরে জোরে শ্বাস নেওয়া, ঘুমের ভিতর ছটফট করা, অদ্ভত ভাবে ঘুমাতে দেখা ।আবার কেউ কেউ অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত ঘুমের ঘোরে বিছানা ভিজিয়ে ফেলে । দেখা গেছে অ্যাডিনয়েড টনসিলের অপারেশনের পরে অনেক শিশু এই বিছানা ভিজিয়ে ফেলা থেকে মুক্তি পায় ।
সাধারনত রাতে ঘুমের সময় গ্রোথ হরমোন নিঃসরন হয়, কিন্ত রাতে নাক ডাকার জন্য গ্রোথ হরমোন ানঃসরন কমে যায় । যার ফলে শিশুটির গ্রোথ বা বৃদ্ধি ব্যাহত হয় । শব্দভান্ডার বয়স অনুযায়ি গড়ে উঠতে পারেনা । ফলে লেখা পড়া অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয় ।
এসব শিশুদের কিন্তু অ্যাডিনয়েড টনসিল অপারেশনের পরে লেখাপড়ায় উন্নতি করতে দেখা গেছে । বিভিন্ন উপসর্গ িএবং পলিসোমনোগ্রাফি পরীক্ষার দ্বারা এই রোগ নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব । যত তাড়াতাড়ি এই রোগ নির্ণয় করা যায় শিশুটির ততই মঙ্গল ।
No comments